শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
২০১৮ সালে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে ১০৮ শতাংশের বেশি

২০১৮ সালে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে ১০৮ শতাংশের বেশি

মতিহার বার্তা ডেস্ক : উন্নয়নের মহাসড়কে ভাসছে বাংলাদেশ। একের পর এক উন্নয়নে বিদেশীদের চোঁখ পড়েছে এখন বাংলাদেশে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার ফলে গত অর্থবছরে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ ছিল তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। যা রীতিমত অভাবনীয়। এই বিদেশী বিনিয়োগ কোনো বারেই কমেনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। বরং বছরের পর বছর বেড়েই চলছে এই বিদেশী বিনিয়োগ।

২০১৮ সালে দেশে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) নিট প্রবাহ ছিল ৩৬১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। এর মধ্যে ইকুইটি ক্যাপিটাল বা নতুন বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১০৮ শতাংশ বেশি। এফডিআই প্রবাহ-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

বিনিয়োগকারী বিদেশী প্রতিষ্ঠানের নিট ইকুইটি ক্যাপিটালকেই নতুন বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ইকুইটি ক্যাপিটাল প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার, যা ২০১৭ সালে ছিল ৫৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। এ হিসেবে এক বছরে ইকুইটি ক্যাপিটাল বা নতুন বিদেশী বিনিয়োগ ১০৮ শতাংশ।

২০১৭ সালে আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণের প্রবাহ ছিল ৩৩ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ২০১৮ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ১১৮ কোটি ৬০ হাজার ডলার। অন্যদিকে ২০১৭ সালে আয়ের পুনর্বিনিয়োগ ছিল ১২৭ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ডলার, যা ২০১৮ সালে বেড়ে ১৩০ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে।

নতুন বিনিয়োগ, আয়ের পুনর্বিনিয়োগ ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণ—তিনটি মিলে গত বছর দেশে নিট বিদেশী বিনিয়োগ এসেছে ৩৬১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, যা ২০১৭ সালে ছিল ২১৫ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ হিসেবে এক বছরে নিট এফডিআই প্রবাহ ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে এফডিআই প্রবাহ ২৩ শতাংশ কমলেও ২০১৮ সালে এসে আমাদের এখানে এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ৬৮ শতাংশ। ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশে এফডিআই প্রবাহ ১০ কোটি ডলারের নিচে ছিল। ২০০৮ সালে টেলিকম খাতে বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে ১০০ কোটি ডলার ছাড়ায় এফডিআই প্রবাহ। এরপর ২০১১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে এর পরিমাণ, যদিও মাঝে এক বছর তা কমে গিয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা আরো জানান, ২০১৬ সালের পর থেকে এফডিআইতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করছি। এর ধারাবাহিকতায় গত বছর ৩৬১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার বিনিয়োগ এসেছে। এ সময় নতুন বিনিয়োগ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে আয়ের পুনর্বিনিয়োগ ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণও বেড়েছে। আমাদের পূর্বাভাস হলো, বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহে এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকাকালীন এই সময়ে দেশের কোনো খাতেই উন্নয়নের ঘাটতি পড়েনি। দেশের মেগা প্রকল্পের কারণে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এত করেই বাংলাদেশে বাড়ছে বিদেশী বিনিয়োগ।

মতিহার বার্তা ডট কম – ৩১ জুলাই, ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply